Pages

Saturday, August 9, 2014

Friday, July 4, 2014

ভেজাল সার চেনার উপায় জেনে নিন


অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য উচ্চ ফলনশীল এবং হাইব্রিড জাতের চাষ পদ্ধতি বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হচ্ছে ব্যপক ভাবে তবে কিছু কিছু অসৎ অতিরিক্ত মুনাফা লোভি ব্যবসায়ী সারে মধ্য ভেজাল দ্রব্য উপাদান মিস্রন করে নকল সার ভেজাল সার উতপাদন এবং বিক্রয় করছে কৃষক ভাইবনেরা আর একটুখানি  সতর্ক ও সচেতন হতে পারলেই আমরা আসল সার এবং  নকল বা ভেজাল সারের পার্থক্য নির্ণয় করতে পারব খানে কয়েকটি বিষয়ের সহজ সুন্দর পরীক্ষার মাধ্যমে আসল বা নকল বা খারা ভেজাল সার শনাক্ত কর উপায় সম্পর্কে আলোচনা  করা হলঃ
ইউরিয়া সার সঠিক ভাবে চেনার আসল উপায়:
১. ভাল বা আসল ইউরিয়া সারের দানাগুলো সমান আকৃতির হবে।
২. ইউরিয়া সারে সাধারণত ভেজাল দ্রব্য হিসেবে সাধারণত কাচের গুড়া ও লবণ ব্যবহার করা হয়।
৩. অল্প পরিমাণে চা চামচে সার নিয়ে আগুনের তাপ দিলে ১-২ মধ্যে  অ্যামোনিয়া গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধ বের হবে এবং সার গলে যাবে আর যদি গন্ধ ও না গলে তাহলে বুঝতে হবে ভেজাল।

Friday, February 21, 2014

নেপিয়ার ঘাস চাষাবাদ পদ্ধতি


বাংলাদেশের আবহাওয়াতে নেপিয়ার ঘাস ভাল জন্মায়। এর পাতা ও কান্ড দেখতে অনেকটা আখ গাছের মত।
নেপিয়ার ঘাস জলাবদ্ধ স্থান ছাড়া সব মাটিতে চাষ করা যায়।
নেপিয়ার ঘাস যে কোন সময় রোপন করা যায়।
নেপিয়ার ঘাসের জন্য ভাল ভাবে মাটি চাষ করতে হয়।
নেপিয়ার ঘাসের জন্য প্রতি হেক্টর জমির জন্য ইউরিয়া-৫০কেজি,টিএসপি-৭০কেজি,এমপি-৩০ কেজি ।
এই ঘাসের জন্য খরা মেসুমে ১৫-২০ দিন পর পর সেচ দিতে হয়।
জমিতে নেপিয়ার ঘাস লাগানোর পর ৬০-৮০ দিন পর কাটার উপযুক্ত সময় এছাড়াও ৩০-৪৫ দিন পরও ঘাস কাটা য়ায।

Sunday, February 16, 2014

শংকর জাতের গাভীর বৈশিষ্ট

শংকর জাত
    শংকর জাত গাভী সাধারনত  শাহীওয়াল,র্জাসি, লাল সিন্ধি, হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান এদের সাথে দেশী জাতের প্রজনন ঘটিয়ে শংকর জাতের গাভী পাওয়া য়ায় ।
    এ সকল জাতের গাভীর ঘাড়ে গজ ও গলকম্বল নেই ।

শাহীওয়াল জাতের গাভীর বৈশিষ্ট


শাহীওয়াল
    শাহীওয়াল গাভী সাধারনত পাকিস্তানের পা ব প্রদেশে দেখা য়ায়।
    শাহীওয়াল গাভী সাধারনত আকারে লম্বা,চওড়া,মাথা ছোট,কপাল চওড়া,পা দেহের তুলনায় ছোট,শিং ছোট ও মোটা,চামড়া ঢিলেঢালা,কান বড় ও ঝোলা ।
    শাহীওয়াল গাভী সাধারনত ফিকে লাল রং এবং কোন অংশে কালচে ও ধুসুর রং দেখা য়ায় ।
    শাহীওয়াল গাভী  দৈনিক ১০-১৫ লিটার দুধ দেয় ।
    শাহীওয়াল গাভীর ওজন ৩৪০ কেজি এবং ষাড়ের ওজন ৫২২ কেজি হয়।

হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান জাতের গাভীর বৈশিষ্ট

হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান
    ফ্রিজিয়ান গাভীর র্বণ সাধারনত ছোট বড় কাল ছাপযুক্ত এবং কখনো পুরোপুরি সাদা ও কালো হয় ।
    হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান  গাভী  আকারে সাধারনত বড় ও মাথা লম্বাটে সোজা হয়।
    হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান গাভী প্রায় ৬৮০ কেজি এবং ষাড় ৮০ কেজি হয়ে থাকে।
    হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান দিনে ২৫-৪০ লিটার দুধ দিয়ে থাকে।
    অল্প (১৫ মাস )বয়সে বকনা প্রজননে আসে।

র্জাসি গাভীর বৈশিষ্ট সমূহ

র্জাসি
    র্জাসি গাভীর রং সাধারনত ললচে বাদামী এবং বিভিন্ন  রং এর হয়ে থাকে।
    র্জাসি গাভীর সাধারনত ৩৬০-৫৪০ কেজি হয়ে থাকে।
    র্জাসি গাভীর সাধারনত হলিস্টিনের চেয়ে ছোট এবং ওজন কম হয়।
    এ জাতের গাভী আচরণে শান্ত প্রকৃতির হয়।
    এ জাতের গাভীর দেহ লম্বা,পা খাট,পিঠে কুজ থাকে না ।
    এ জাতের গাভীর দুধে ফ্যাট/ননির (৬%) পরিমান বেশি থাকে।
    এ জাতের গাভী দৈনিক ১৫-২০ লিটার দুধ দেয় ।

লাল সিন্ধি জাতের গাভীর বৈশিষ্ট সমূহ

আমাদের দেশে সাধারণত নিম্নের গাভীর জাত সমূহ বেশি পালন করা হয়ে থাকে।

লাল সিন্ধি
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত পাকিস্তানের সিন্ধি প্রদেশে দেখা য়ায়।
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত আকারে বেটে,পুষ্ট ,মাথা ছোট,কপাল চওড়া ,ও পা ছোট হয়।
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত গাঢ় লাল রং বা     ষাড় এর চেয়ে গাঢ় রং এর হয়ে থাকে।
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত নাভির্চম ঝোলা ও বড় হয়।
    এ জাতের গাভীর শিং ছোট ও মোটা এবং অগ্রভাগ সরম্ন ও সুঁচালো হয় ।
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত ২৯৫ কেজি এবং ষাড় ৪৫০ কেজি হয়ে থাকে।
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত দিনে ৬ লিটার দুধ দিয়ে থাকে।

Thursday, February 6, 2014

পাবনা চট্রগ্রাম ও লাল সিন্ধি জাতের গাভী


পাবনা জাত
পাবনা জাতের গাভীর রং সাধারসত-ধুসুর ও চকরাবকরা হয়ে থাকে।
এ জাতের গাভী সাধারনত পাবনা আলে বেশী দেখা য়ায়।
দৈহিক ওজন ২৫০-৩০০ কেজি হয়ে থাকে।
দৈনিক ৪-৫ লিটার দুধ দিয়ে থাকে।
পাবনা জাতের গাভী সাধারনত ৩০০ দিন দুধ দিয়ে থাকে।

দেশী গরুর জাত এবং বৈশিষ্ট


দেশী গরুর জাত এবং বৈশিষ্ট
দেশী গরুর জাত হিসাবে বলা য়ায-দেশী জাত,পাবনা জাত,চট্রগ্রাম লাল জাত,লাল সিন্ধি.

দেশী জাত 
দেশী জাত গাভীর র্বণ সাধারনত -লাল, কাল, সাদা, ধুসুর, ফ্যাকাশে, কালো-সাদা, লাল-ফ্যাকাশে
ইত্যাদি রং এর হয়ে থাকে।
দেশী জাত গাভীর দেহের গঠন সাধারনত-বলবান,আটসাটো,বলিষ্ঠ হয়ে থাকে।
এ জাতের গাভীর পিঠে সাধারনত-চুড়া বা কুঁচ থাকে।
দেশী জাত গাভীর সাধারনত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী।
দেশী জাত গাভী সাধারন মানের খাবার খায়।
একটি পুর্ণা বয়সের গাভীর ওজন গড়ে ১০০-১২৫কেজি হয়।
দেশী জাত গাভীর সাধারনত দৈনিক ১.৫-২.৫ কেজি দুধ দেয়।
দেশী জাত গাভী প্রায় ১৮০ দিন দুধ দিয়ে থাকে।
দেশী জাত গাভীর সাধারনত পরিশ্রমী হয়ে থাকে।

Thursday, January 2, 2014

সরিষা চাষ রোগ ও পোকা মাকড় দমন


প্রত্যেক উদ্ভিদের কোন না কোন অংশ থেকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তেল আহরণ করা যায়। তবে অর্থনীতিক ও ব্যবহার গত কারনে গুরুত্বের কম বেশি হয়। সরিষা একটি তেল উৎপাদন কারি ফসল। সরিষা একটি রবি ফসল। এটা সাধারণত শীত কালে হয়ে থাকে। সরিষায় ২০-৩০% আমিষ রয়েছে। যা শক্তি, বৃদ্ধি ও ক্ষয় পূরণ রক্ষণাবেক্ষণে সহযোগিতা করে থাকে। তেল বীজের উৎপাদনের দিক থেকে এর অবদান প্রায় ৭০%। খাবার রান্না বান্নায় এটি খুবই জনপ্রিয়। শরীরে ও মাথায় সরিষার তেল ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়। সরিষার বীজ থেকে তেল করার পর খৈল বের হয় যা উওম গো- খাদ্য। খৈল সারের কাজও করে থাকে। খৈলে ৬.৪% নাইট্রোজেন থাকে।
বৃষ্টির পানি জমে না এমন সকল জমিতে সরিষা করা যায়। এবং জমি সমতল হতে হবে।  
সরিষার বাংলাদেশি জাতের মধ্য ভাল টরী,কল্যাণীয়া,সম্পদ,সোনালী,রাই-৫,দৌলত,বারি সরিষা-৬,৮ সম্বল ইত্যাদি।
সরিষা রবি ফসল হওয়ায় পানি ছেচের প্রয়োজন কম তবে ক্ষেতের অবস্থা বুঝে ছেচ প্রদান করতে হবে।
পোকা ও রোগ দমনঃ
পোকার আক্রমণের মধ্য জাব,প্রজাপতি,বিছা-পোকা ক্ষতি করে। জাব পোকার আক্রমন হয় মারাত্বক। অরোবাংকি নামক সপুস্পক পরজীবীর কারনে গাছের মূলে আক্রমণ হয়।

প্রতিকারের ব্যবস্থাঃ আগাম চাষ করা,ডিটারজেন্ট পাউডার ও নিমের বীজের নির্যাস ভাল করে মিশিয়ে স্প্রে করলে আক্রমণ কমে। এছাড়া আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড প্রতি লিতার পানিতে ০.৫ মিলি (টিডো/ইমিটাফ/বিলডর) বা থায়োমেথোক্সাময(একতারা/ম্যাক্সিমা/জুম) প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে স্প্রে করে দিতে হবে।