প্রত্যেক উদ্ভিদের কোন না কোন অংশ থেকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তেল আহরণ করা যায়। তবে অর্থনীতিক ও ব্যবহার গত কারনে গুরুত্বের কম বেশি হয়। সরিষা একটি তেল উৎপাদন কারি ফসল। সরিষা একটি রবি ফসল। এটা সাধারণত শীত কালে হয়ে থাকে। সরিষায় ২০-৩০% আমিষ রয়েছে। যা শক্তি, বৃদ্ধি ও ক্ষয় পূরণ রক্ষণাবেক্ষণে সহযোগিতা করে থাকে। তেল বীজের উৎপাদনের দিক থেকে এর অবদান প্রায় ৭০%। খাবার রান্না বান্নায় এটি খুবই জনপ্রিয়। শরীরে ও মাথায় সরিষার তেল ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়। সরিষার বীজ থেকে তেল করার পর খৈল বের হয় যা উওম গো- খাদ্য। খৈল সারের কাজও করে থাকে। খৈলে ৬.৪% নাইট্রোজেন থাকে।
বৃষ্টির পানি জমে
না এমন সকল জমিতে সরিষা করা যায়। এবং জমি সমতল হতে হবে।
সরিষার বাংলাদেশি
জাতের মধ্য ভাল টরী,কল্যাণীয়া,সম্পদ,সোনালী,রাই-৫,দৌলত,বারি সরিষা-৬,৮ সম্বল
ইত্যাদি।
সরিষা রবি ফসল
হওয়ায় পানি ছেচের প্রয়োজন কম তবে ক্ষেতের অবস্থা বুঝে ছেচ প্রদান করতে হবে।
পোকা ও রোগ দমনঃ
পোকার আক্রমণের
মধ্য জাব,প্রজাপতি,বিছা-পোকা ক্ষতি করে। জাব পোকার আক্রমন হয় মারাত্বক। অরোবাংকি
নামক সপুস্পক পরজীবীর কারনে গাছের মূলে আক্রমণ হয়।
প্রতিকারের
ব্যবস্থাঃ আগাম চাষ করা,ডিটারজেন্ট পাউডার ও নিমের বীজের নির্যাস ভাল করে মিশিয়ে
স্প্রে করলে আক্রমণ কমে। এছাড়া আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড প্রতি লিতার
পানিতে ০.৫ মিলি (টিডো/ইমিটাফ/বিলডর) বা থায়োমেথোক্সাময(একতারা/ম্যাক্সিমা/জুম)
প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে স্প্রে করে দিতে হবে।