Friday, February 21, 2014

নেপিয়ার ঘাস চাষাবাদ পদ্ধতি


বাংলাদেশের আবহাওয়াতে নেপিয়ার ঘাস ভাল জন্মায়। এর পাতা ও কান্ড দেখতে অনেকটা আখ গাছের মত।
নেপিয়ার ঘাস জলাবদ্ধ স্থান ছাড়া সব মাটিতে চাষ করা যায়।
নেপিয়ার ঘাস যে কোন সময় রোপন করা যায়।
নেপিয়ার ঘাসের জন্য ভাল ভাবে মাটি চাষ করতে হয়।
নেপিয়ার ঘাসের জন্য প্রতি হেক্টর জমির জন্য ইউরিয়া-৫০কেজি,টিএসপি-৭০কেজি,এমপি-৩০ কেজি ।
এই ঘাসের জন্য খরা মেসুমে ১৫-২০ দিন পর পর সেচ দিতে হয়।
জমিতে নেপিয়ার ঘাস লাগানোর পর ৬০-৮০ দিন পর কাটার উপযুক্ত সময় এছাড়াও ৩০-৪৫ দিন পরও ঘাস কাটা য়ায।

Sunday, February 16, 2014

শংকর জাতের গাভীর বৈশিষ্ট

শংকর জাত
    শংকর জাত গাভী সাধারনত  শাহীওয়াল,র্জাসি, লাল সিন্ধি, হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান এদের সাথে দেশী জাতের প্রজনন ঘটিয়ে শংকর জাতের গাভী পাওয়া য়ায় ।
    এ সকল জাতের গাভীর ঘাড়ে গজ ও গলকম্বল নেই ।

শাহীওয়াল জাতের গাভীর বৈশিষ্ট


শাহীওয়াল
    শাহীওয়াল গাভী সাধারনত পাকিস্তানের পা ব প্রদেশে দেখা য়ায়।
    শাহীওয়াল গাভী সাধারনত আকারে লম্বা,চওড়া,মাথা ছোট,কপাল চওড়া,পা দেহের তুলনায় ছোট,শিং ছোট ও মোটা,চামড়া ঢিলেঢালা,কান বড় ও ঝোলা ।
    শাহীওয়াল গাভী সাধারনত ফিকে লাল রং এবং কোন অংশে কালচে ও ধুসুর রং দেখা য়ায় ।
    শাহীওয়াল গাভী  দৈনিক ১০-১৫ লিটার দুধ দেয় ।
    শাহীওয়াল গাভীর ওজন ৩৪০ কেজি এবং ষাড়ের ওজন ৫২২ কেজি হয়।

হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান জাতের গাভীর বৈশিষ্ট

হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান
    ফ্রিজিয়ান গাভীর র্বণ সাধারনত ছোট বড় কাল ছাপযুক্ত এবং কখনো পুরোপুরি সাদা ও কালো হয় ।
    হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান  গাভী  আকারে সাধারনত বড় ও মাথা লম্বাটে সোজা হয়।
    হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান গাভী প্রায় ৬৮০ কেজি এবং ষাড় ৮০ কেজি হয়ে থাকে।
    হলিস্টিন-ফ্রিজিয়ান দিনে ২৫-৪০ লিটার দুধ দিয়ে থাকে।
    অল্প (১৫ মাস )বয়সে বকনা প্রজননে আসে।

র্জাসি গাভীর বৈশিষ্ট সমূহ

র্জাসি
    র্জাসি গাভীর রং সাধারনত ললচে বাদামী এবং বিভিন্ন  রং এর হয়ে থাকে।
    র্জাসি গাভীর সাধারনত ৩৬০-৫৪০ কেজি হয়ে থাকে।
    র্জাসি গাভীর সাধারনত হলিস্টিনের চেয়ে ছোট এবং ওজন কম হয়।
    এ জাতের গাভী আচরণে শান্ত প্রকৃতির হয়।
    এ জাতের গাভীর দেহ লম্বা,পা খাট,পিঠে কুজ থাকে না ।
    এ জাতের গাভীর দুধে ফ্যাট/ননির (৬%) পরিমান বেশি থাকে।
    এ জাতের গাভী দৈনিক ১৫-২০ লিটার দুধ দেয় ।

লাল সিন্ধি জাতের গাভীর বৈশিষ্ট সমূহ

আমাদের দেশে সাধারণত নিম্নের গাভীর জাত সমূহ বেশি পালন করা হয়ে থাকে।

লাল সিন্ধি
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত পাকিস্তানের সিন্ধি প্রদেশে দেখা য়ায়।
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত আকারে বেটে,পুষ্ট ,মাথা ছোট,কপাল চওড়া ,ও পা ছোট হয়।
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত গাঢ় লাল রং বা     ষাড় এর চেয়ে গাঢ় রং এর হয়ে থাকে।
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত নাভির্চম ঝোলা ও বড় হয়।
    এ জাতের গাভীর শিং ছোট ও মোটা এবং অগ্রভাগ সরম্ন ও সুঁচালো হয় ।
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত ২৯৫ কেজি এবং ষাড় ৪৫০ কেজি হয়ে থাকে।
    লাল সিন্ধি গাভী সাধারনত দিনে ৬ লিটার দুধ দিয়ে থাকে।

Thursday, February 6, 2014

পাবনা চট্রগ্রাম ও লাল সিন্ধি জাতের গাভী


পাবনা জাত
পাবনা জাতের গাভীর রং সাধারসত-ধুসুর ও চকরাবকরা হয়ে থাকে।
এ জাতের গাভী সাধারনত পাবনা আলে বেশী দেখা য়ায়।
দৈহিক ওজন ২৫০-৩০০ কেজি হয়ে থাকে।
দৈনিক ৪-৫ লিটার দুধ দিয়ে থাকে।
পাবনা জাতের গাভী সাধারনত ৩০০ দিন দুধ দিয়ে থাকে।

দেশী গরুর জাত এবং বৈশিষ্ট


দেশী গরুর জাত এবং বৈশিষ্ট
দেশী গরুর জাত হিসাবে বলা য়ায-দেশী জাত,পাবনা জাত,চট্রগ্রাম লাল জাত,লাল সিন্ধি.

দেশী জাত 
দেশী জাত গাভীর র্বণ সাধারনত -লাল, কাল, সাদা, ধুসুর, ফ্যাকাশে, কালো-সাদা, লাল-ফ্যাকাশে
ইত্যাদি রং এর হয়ে থাকে।
দেশী জাত গাভীর দেহের গঠন সাধারনত-বলবান,আটসাটো,বলিষ্ঠ হয়ে থাকে।
এ জাতের গাভীর পিঠে সাধারনত-চুড়া বা কুঁচ থাকে।
দেশী জাত গাভীর সাধারনত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী।
দেশী জাত গাভী সাধারন মানের খাবার খায়।
একটি পুর্ণা বয়সের গাভীর ওজন গড়ে ১০০-১২৫কেজি হয়।
দেশী জাত গাভীর সাধারনত দৈনিক ১.৫-২.৫ কেজি দুধ দেয়।
দেশী জাত গাভী প্রায় ১৮০ দিন দুধ দিয়ে থাকে।
দেশী জাত গাভীর সাধারনত পরিশ্রমী হয়ে থাকে।

রিলেটেড পোস্ট

 

আমার সাথে যোগাযোগ

আমি আরিফুল ইসলাম আরিফ কৃষি ডিপ্লোমা করেছি গাইবান্ধা কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট থেকে। আমি একজন শখের ব্লগার। আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে পরামর্শ দিনআপনারা কেউ যদি লেখা লেখি করতে চান বা ব্লগ তৈরী বিষয়ে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করুন.. মোবাইল-০১৮২৭৬৫২১০৩, ইমেইল- arifagri121@gmail.com