ইদানীং কয়েক বছর ধরে পেয়ারা কিনতে গেলে পেয়ারার মধ্য পোকা বের হচ্ছে। এজন্য
চাষি,বিক্রেতা ও ক্রেতা সবাই ক্ষতির শিকার হচ্ছে। অন্যান্য ফলের মত পেয়ারাতেও নানা
ধরনের পোকার আক্রমণ হয়। তবে এই মাছি পোকার আক্রমণ সবচেয়ে বিপদজনক। ফল সিদ্রকারী পোকা
আক্রমণ করে কাচা ফলে আর মাছি পোকা আক্রমণ করে পাকা ফলে। ফল সিদ্রকারী পোকা আক্রমণ
করলে ফলে কোথাও না কোথাও ক্ষত বা সিদ্র থাকে কিন্তু মাছি পোকায় তেমনটি হয় না।
আক্রমণে এর ফলের রং,সিদ্র,বিকৃত ও গন্ধ সবই ঠিক থাকে। কিন্তু ফলের ভিতরটা নষ্ট হয়ে
যায়। তবে ফলে ভাল ভাবে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন গায়ে তিলের মত ক্ষুদ্র কোন ক্ষত
চিহ্ন আছে। সেখানে মাছি ডিম দেয় এর সংখ্যা ১৫০-২০০টি হতে পারে। পেয়ারা ফল যখন
পাকতে শুরু করে তখন পাকা ফলের গন্ধে মাছি আকৃষ্ট হয়। বর্ষা কালে এদের আক্রমণ বেশি
হয়। আক্রান্ত ফলে পোকা ডিম থেকে বের হয়েই ফলের শাঁস খেতে শুরু করে। খায় আর মল
ত্যাগ করে। ফলের মধ্য সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয় শাঁস অধেক বা পুরোটাই নষ্ট হয়।
প্রতিরোধ ও দমন ব্যবস্থাঃ
১। ফল ব্যাগিং করা একটি কাযকর পদ্ধতি।
২। আক্রান্ত ফল নষ্ট করতে হবে।
৩। বিষ টোপ ব্যবহার করে (১০০ গ্রাম থেঁতলানো কলা+৫ গ্রাম এমআইপিসি/কারবারিল
কীটনাশক(ভিতাব্রিল)+১০০ গ্রাম পানি)
৪। বেইট ট্র্যাপ তৈরী করে ফলের শাখার পার্শ্বে স্থাপন করা যায়। ৩-৫ দিন পর
পর বদলে দিতে হয়।
৫।ফোরেমন ফাঁদ ব্যবহার করা।
৬। ডাইমেথোয়েট(টাফগর/বিস্টারথোয়েট/ডায়নামিক/ডেল্টাথোয়েট) প্রতি লিটার
পানিতে ২ মিলি হারে।